১৫ আগস্টের কালো অধ্যায় বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে ম্লান করে দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনার মা-বাবা, ভাই-বোন ও আমার পিতার হত্যাকারীদের সঙ্গে কোনো আপস হবে না: সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা মানতে না পেরেই ১৫ অগাস্ট তাকে হত্যা করে পরাজিত শক্তি। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের সঙ্গে জাতির পিতার নির্মমভাবে নিহত হওয়ার বিভীষিকাময় ১৫ আগস্টের সেই কালরাত্রির স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট বাঙালির মহান ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত সোনালী অধ্যায়ের ওপর কালিমা লেপন করেছে।শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ আগস্টের কালো অধ্যায় বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে ম্লান করে দিয়েছে। কেননা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অনেক ত্যাগের মাধ্যমে এ জাতির জন্ম হয়। শোকাবহ ১৫ আগস্টে জন্মদিন উদযাপন করায় বেগম জিয়ার তীব্র সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই বিয়োগান্ত দিনে জন্মদিন উদযাপন করে তিনি আমাদের বুঝিয়ে দিলেন তিনি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির সঙ্গে রয়েছেন।শেখ হাসিনা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার এই বর্বরোচিত দিনে জন্মদিন উদযাপন করে বেগম জিয়া আমাদেরকে বুঝিয়ে দিলেন যে তিনি দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না এবং তিনি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির একজন দোসর। বিএনপি-জামাত আবার ক্ষমতায় আসলে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়াবে তা একবার ভেবে দেখতে শেখ হাসিনা জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।তিনি বলেন, আগামীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না আসলে দারিদ্রতা বেড়ে যাবে, সাক্ষরতার হার কমে যাবে, বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস পাবে, খাদ্য উৎপাদন কমে যাবে এবং জঙ্গি ও সন্ত্রাসীরা দেশ শাসন করবে।তিনি বলেন, আমাদের মেয়াদকালে ব্যাপক উন্নয়নের পরও কিছু লোক আমাদের সমালোচনা করছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় না আসে দেশের পরিস্থিতি কি দাঁড়াবে তা একবার ভেবে দেখতে আমি তাদের আহ্বান জানাচ্ছি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের উভয় মেয়াদেই বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে গেছে। অপরদিকে বিএনপির শাসনামলে জাতি পিছিয়ে গেছে। সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের মাধ্যমে দেশ কুখ্যাতি অর্জন করেছে।শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দেশ শাসন করেছে। এর ফলে বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনার প্রায় ৯৬ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে এবং বর্তমান মেয়াদে প্রতিটি খাতে অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।তিনি বলেন, ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিল। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর দেশ আবার খাদ্য সংকটে পড়ে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মর্যাদা রক্ষা করা প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য। এ ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, 'যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এবং যারা চায় বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াক তাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, "আসুন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে, মানুষ হত্যা করে, যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলি।"১৯৭৫ পরবর্তী এবং জিয়ার শাসনকালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও পটপরিবর্তনের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাসিত জীবন থেকে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর জিয়া তাকে ও রেহানাকে বঙ্গবন্ধু ভবনে প্রবেশ করতে দেননি। 'এমনকি ওই ভবনে মিলাদ মাহফিল আয়োজন করতে দেননি' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'তালাবদ্ধ ওই কক্ষের বাইরে আমরা বাবা-মা'র জন্য দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার ঠেকাতে জিয়া ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ পাস করেন। বেগম জিয়া খুনীদের সংসদ সদস্য বানান। স্বাধীনতাবিরোধী চক্রকে সামরিক শাসকেরা লালন করেছেন বলে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের খুনিদের জিয়াউর রহমান পূনর্বাসন করেছিলেন। এরশাদ তাদের দিয়ে ফ্রিডম পার্টি গঠন করেন। কর্নেল ফারুককে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করেন।শুধু তাই নয়, এসব সামরিক শাসকরা শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানান, আবদুল আলীমকে মন্ত্রী বানান। আবদুল মান্নানকে মন্ত্রী করা হয়, পরে উপদেষ্টা করা হয়।তিনি বলেন, অতীত শাসকদের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে খালেদা জিয়া কর্নেল হুদা, কর্নেল রশীদকে ভোটারবিহীন নির্বাচনে নির্বাচিত করে আনেন। পরে স্বাধীনতাবিরোধী নিজামী-মুজাহিদের গাড়িতে ৩০ লাখ শহীদের রক্তে ভেজা পতাকা তুলে দেন। খুনিদের মদদ দেওয়াই তাদের চরিত্র। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করাই তাদের কাজ।বর্তমান সরকারের আমলে নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিবরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত পর্যায়ে এসেছে, বিদ্যুতের অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে, মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হচ্ছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ২১ বছর পরে ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচারের উদ্যোগ নেয়।তবে বিএনপি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় ঘোষণার দিন হরতাল আহবান করে।বিএনপি'র ষড়যন্ত্রের বিষয় জনগণকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতকে নিয়ে যুদ্ধাপরাধদের রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে।শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫'র পরে জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দিয়েছেন এবং বেগম জিয়া ও একই নীতি গ্রহণ করেছেন এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার থেকে রক্ষা করতে চেয়েছেন। বিএনপি একাধিকবার ক্ষমতায় এসেছে। তিনি প্রশ্ন করেন- হত্যা, দুর্নীতি ছাড়া তারা দেশকে কি দিয়েছেন। তারা কালো টাকা পুঞ্জিভূত করে নিজেদের ভাগ্য গড়েছেন। তিনি বলেন, তারা ২১ আগস্টের বোমা হামলা, একই সময়ে ৫শ' স্থানে সিরিজ বোমা হামলা, সাবেক অর্থমন্ত্রী এসএএমএস কিবরিয়া ও আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপিকে হত্যা এবং ১০ ট্রাক গোলাবারুদ আমদানির সঙ্গে জড়িত ছিল।প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারেক জিয়া তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যাংক থেকে ৯৮০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঋণের সুদ প্রদান থেকে অব্যাহতি নেন।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. নাসিম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, ঢাবি ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম ও সানজিদা খানম এমপি।সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ ও উপ-প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।আমির হোসেন আমু বলেন, বিএনপি তার নিজস্ব শক্তি হারিয়ে জামায়াতের আশ্রয় গ্রহণ করেছে। তিনি ১৯৭১ সালের মত সকল স্বাধীনতাপন্থী শক্তির ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রগতিশীল শক্তির দৃঢ় ঐক্যই কেবল দেশকে বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে পারে।তিনি আরো বলেন, ৫টি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর একটি মহল আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। তিনি আরো বলেন, কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে ভবিষ্যতে কেউ আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে পারবে না।সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, আওয়ামী লীগের বর্তমান সরকারের সময়ে বাংলাদেশে প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নে একটি মডেল হয়েছে। বিএনপি সকল অশুভ শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তিনি সকল অশুভ শক্তির মূলোৎপাটন করতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনোই জনগণের কোন কিছু গোপন করেননি। তিনি দেশ পরিচালনার সময় জনগণের কাছে সব সময় তার সীমাবদ্ধতা স্বীকার করেছেন। আমরা এমন আর কোন বিশ্ব নেতা পাইনি। ফলে সাধারণ জনগণ তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করেনি। ষড়যন্ত্রকারীরা তাঁকে খুন করেছে।তিনি আইসিটি আইন লংঘনকারী অভিযুক্ত একজন ব্যক্তির পক্ষে আদালতে যাওয়ায় কয়েকজন বিদেশী কূটনীতিকের সমালোচনা করে বলেন, এ সব দেশ তাদের নিজস্ব ভাষা ও স্বার্থে মানবাধিকারকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, "আসুন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে, মানুষ হত্যা করে, যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলি।"১৯৭৫ পরবর্তী এবং জিয়ার শাসনকালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও পটপরিবর্তনের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাসিত জীবন থেকে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর জিয়া তাকে ও রেহানাকে বঙ্গবন্ধু ভবনে প্রবেশ করতে দেননি। 'এমনকি ওই ভবনে মিলাদ মাহফিল আয়োজন করতে দেননি' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'তালাবদ্ধ ওই কক্ষের বাইরে আমরা বাবা-মা'র জন্য দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার ঠেকাতে জিয়া ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ পাস করেন। বেগম জিয়া খুনীদের সংসদ সদস্য বানান। স্বাধীনতাবিরোধী চক্রকে সামরিক শাসকেরা লালন করেছেন বলে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের খুনিদের জিয়াউর রহমান পূনর্বাসন করেছিলেন। এরশাদ তাদের দিয়ে ফ্রিডম পার্টি গঠন করেন। কর্নেল ফারুককে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করেন।শুধু তাই নয়, এসব সামরিক শাসকরা শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানান, আবদুল আলীমকে মন্ত্রী বানান। আবদুল মান্নানকে মন্ত্রী করা হয়, পরে উপদেষ্টা করা হয়।তিনি বলেন, অতীত শাসকদের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে খালেদা জিয়া কর্নেল হুদা, কর্নেল রশীদকে ভোটারবিহীন নির্বাচনে নির্বাচিত করে আনেন। পরে স্বাধীনতাবিরোধী নিজামী-মুজাহিদের গাড়িতে ৩০ লাখ শহীদের রক্তে ভেজা পতাকা তুলে দেন। খুনিদের মদদ দেওয়াই তাদের চরিত্র। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করাই তাদের কাজ।বর্তমান সরকারের আমলে নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিবরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত পর্যায়ে এসেছে, বিদ্যুতের অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে, মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হচ্ছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ২১ বছর পরে ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচারের উদ্যোগ নেয়।তবে বিএনপি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় ঘোষণার দিন হরতাল আহবান করে।বিএনপি'র ষড়যন্ত্রের বিষয় জনগণকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতকে নিয়ে যুদ্ধাপরাধদের রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে।শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫'র পরে জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দিয়েছেন এবং বেগম জিয়া ও একই নীতি গ্রহণ করেছেন এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার থেকে রক্ষা করতে চেয়েছেন। বিএনপি একাধিকবার ক্ষমতায় এসেছে। তিনি প্রশ্ন করেন- হত্যা, দুর্নীতি ছাড়া তারা দেশকে কি দিয়েছেন। তারা কালো টাকা পুঞ্জিভূত করে নিজেদের ভাগ্য গড়েছেন। তিনি বলেন, তারা ২১ আগস্টের বোমা হামলা, একই সময়ে ৫শ' স্থানে সিরিজ বোমা হামলা, সাবেক অর্থমন্ত্রী এসএএমএস কিবরিয়া ও আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপিকে হত্যা এবং ১০ ট্রাক গোলাবারুদ আমদানির সঙ্গে জড়িত ছিল।প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারেক জিয়া তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যাংক থেকে ৯৮০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঋণের সুদ প্রদান থেকে অব্যাহতি নেন।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. নাসিম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, ঢাবি ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম ও সানজিদা খানম এমপি।সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ ও উপ-প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।আমির হোসেন আমু বলেন, বিএনপি তার নিজস্ব শক্তি হারিয়ে জামায়াতের আশ্রয় গ্রহণ করেছে। তিনি ১৯৭১ সালের মত সকল স্বাধীনতাপন্থী শক্তির ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রগতিশীল শক্তির দৃঢ় ঐক্যই কেবল দেশকে বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে পারে।তিনি আরো বলেন, ৫টি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর একটি মহল আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। তিনি আরো বলেন, কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে ভবিষ্যতে কেউ আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে পারবে না।সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, আওয়ামী লীগের বর্তমান সরকারের সময়ে বাংলাদেশে প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নে একটি মডেল হয়েছে। বিএনপি সকল অশুভ শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তিনি সকল অশুভ শক্তির মূলোৎপাটন করতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনোই জনগণের কোন কিছু গোপন করেননি। তিনি দেশ পরিচালনার সময় জনগণের কাছে সব সময় তার সীমাবদ্ধতা স্বীকার করেছেন। আমরা এমন আর কোন বিশ্ব নেতা পাইনি। ফলে সাধারণ জনগণ তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করেনি। ষড়যন্ত্রকারীরা তাঁকে খুন করেছে।তিনি আইসিটি আইন লংঘনকারী অভিযুক্ত একজন ব্যক্তির পক্ষে আদালতে যাওয়ায় কয়েকজন বিদেশী কূটনীতিকের সমালোচনা করে বলেন, এ সব দেশ তাদের নিজস্ব ভাষা ও স্বার্থে মানবাধিকারকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করায় বেগম জিয়ার সমালোচনা করে বলেন, যখন সমগ্র জাতি জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডে শোক পালন করছে সে সময় এ ধরনের ঘটনা সত্যি হাস্যকর।তিনি বলেন, একটি সভ্য সমাজে এ ধরনের ঘটনা সম্পূর্ণ অনৈতিক। তিনি বলেন, তারা আমাদের বিরুদ্ধে এখনো লড়াই করছে। তারা বঙ্গবন্ধুকে তার পরিবারের সদস্যসহ হত্যা করেছে এবং এখন তারা শেখ হাসিনাকেও শেষ করে দিতে চায়।সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, যারা জাতীয় শোক দিবসে ভুয়া জন্মদিনের নামে কেক কেটে ফূর্তি করেন, তাদের সঙ্গে কোনো আপস, কোনো আলোচনা বা সংলাপ হবে না। তিনি বলেন, বিএনপি যুদ্ধ শুরু করেছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। তারা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চায়। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। তাদের সঙ্গে কোনো সমঝোতা বা সংলাপ হবে না। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার মা-বাবা, ভাই-বোন ও আমার পিতার হত্যাকারীদের সঙ্গে কোনো আপস হবে না।নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দেবেন,
আমাদের সবাইকে তা একাগ্রচিত্তে মেনে নিতে হবে। নইলে আমার-আপনার কারোরই মঙ্গল হবে না।অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন বৈপ্লবিক নেতা। তিনি ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে এ জন্য এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে প্রকৃত কারণ ও ষড়যন্ত্রকারীদের সনাক্ত করতে একটি কমিশন গঠন করার আহ্বান জানান।মোহাম্মদ নাসিম ১৫ আগস্টে খালেদা জিয়ার জন্মদিনের নামে গতকাল কেক কাটার জন্য খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে বলেন, একটি সরকার এক মেয়াদে তার সকল নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে পারে না। তিনি দলের বাকি সকল নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগকে আরো একবার ক্ষমতায় আসতে সুযোগ দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
আমাদের সবাইকে তা একাগ্রচিত্তে মেনে নিতে হবে। নইলে আমার-আপনার কারোরই মঙ্গল হবে না।অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন বৈপ্লবিক নেতা। তিনি ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে এ জন্য এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে প্রকৃত কারণ ও ষড়যন্ত্রকারীদের সনাক্ত করতে একটি কমিশন গঠন করার আহ্বান জানান।মোহাম্মদ নাসিম ১৫ আগস্টে খালেদা জিয়ার জন্মদিনের নামে গতকাল কেক কাটার জন্য খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে বলেন, একটি সরকার এক মেয়াদে তার সকল নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে পারে না। তিনি দলের বাকি সকল নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগকে আরো একবার ক্ষমতায় আসতে সুযোগ দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
No comments:
Post a Comment